The program was started on 7th December jointly arranged by Information and Communication Technology Division and Bangladesh Association of Software and Information Services (BASIS). On Sunday, December 10, the 17th APICTA Awards Dhaka 2017 prize distribution program was held at the Bangabandhu International Conference Center (BICC).
Honorable Finance Minister Abul Maal Abdul Muhit was present as the chief guest at the program. State Minister for Information and Technology Zunaid Ahmed Palak was present as special guest. At the program, awards were presented to the winners of 17 categories in the program. Among others, Secretary of ICT Division Subir Kishore Chowdhury, Director General of ICT Department Bonamali Bhowmik, BASIS President Mustafa Jabbar and BASIS Senior Vice-president and Convener of the 17th APICTA Awards Dhaka 2017 Russell T. Ahmed were also present.
জমকালো পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হলো এশিয়া প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের আইসিটি অস্কার খ্যাত ‘১৭তম অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস ঢাকা ২০১৭’। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর যৌথ উদ্যোগে ৭ ডিসেম্বর শুরু হয় এ অনুষ্ঠান। রবিবার, ১০ ডিসেম্বর বিকেলে ১৭তম অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস ঢাকা ২০১৭ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ জুনাইদ আহ্মেদ পলক বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ১৭ টি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ড তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী, আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক, বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার এবং বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও ১৭তম অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস ঢাকা ২০১৭ এর আহ্বায়ক রাসেল টি আহমেদ।
অর্থমন্ত্রী অ্যাপিকটা সদস্য হওয়ার মাত্র দুই বছরের মধ্যে অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস সফলভাবে আয়োজন করায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ আইসিটি খাতে সমগ্র বিশ্বে উদীয়মান শক্তি হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। অ্যাপিকটাভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ও আগামীতে রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস আয়োজনের মাধ্যমে সদস্য দেশগুলোর সাথে আইসিটি খাতে বাণিজ্যের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার মধ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখাতে পেরেছেন। তাদের মনে আশার সঞ্চার করেছেন। যে কারণে মাত্র ১৩ বছরের মধ্যে দেশকে একটি প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতির দিকে নিতে সক্ষম স্বপ্ন দেখেছি আমরা। ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও অধিক রপ্তানি আয় করতে সক্ষম হয়েছি। ২০১৮ সাল নাগাদ বেসিসের ওয়ান বাংলাদেশ ভিশনের অন্যতম লক্ষ্য ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় করতে চাই। অ্যাপিকটাভুক্ত দেশগুলোর সাথে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।
এবারই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অংশ নিয়েছে অ্যাপিকটাভুক্ত ১৫টি দেশ- অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনেই দারুসসালাম, চীন, চীনা তাইপে, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, ম্যাকাও, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম। অনুষ্ঠানে বিচারক, ইকোনমিক কো-অর্ডিনেটর, মনোনয়নপ্রাপ্ত অংশগ্রহণকারির সংখ্যা দেশি-বিদেশিসহ ছয় শতাধিক।
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বৃহত্তম সংগঠন এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যালায়েন্স (অ্যাপিকটা), এই অঞ্চলের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের পাশাপাশি সম্ভাবনাময় ও সফল উদ্যোগ, সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবার স্বীকৃতি দিতে প্রতিবছর অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডসের আয়োজন করে থাকে।
|